এ কে এম সেলিম:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের মাপকাঠি কখনোই আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে নিজেকে নিরাপদ রাখা হতে ব্যাক্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের বিবিএল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জমকালো গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার বিকেলে রঙিন সাজে উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয় মাঠ পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও শ্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো এলাকা। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে।
পরে প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত নেতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহর আলী, সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এ্যাড. আল আমিন হোসেন বিপ্লব, আলমগীর হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান শাহিন, জাকির হোসেন, শহীদুল্লাহ, হাফিজুর রহমান হাফিজ প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির নেতা মো. শাহজান সরকার সোহাগ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এস. এম. সনেট, ফরহাদ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও জামান মিয়া, উপজেলা যুবদল নেতা সানাউল্লাহ প্রধান, মানিক মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “রায়পুরার উন্নয়ন, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং তরুণ সমাজ গঠনে মহসীন বিদ্যুৎ একটি প্রেরণার নাম। দলের কঠিন সময়ে তিনি রাজপথে থেকেছেন, নির্যাতন সয়েছেন, কিন্তু পিছু হটেননি।”
তারা তারেক রহমানের কাছে নরসিংদী-৫ আসনে মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। নিজ বক্তব্যে মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ বলেন,
“ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে আমি ও আমার পরিবার অসংখ্য হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমার বিরুদ্ধে ৪৩টি মামলা হয়েছে, ৬ বছর ৮ মাস কারাজীবন কাটিয়েছি, বহু বছর ছিলাম ফেরারি। তবুও জনগণের পাশে থেকেছি—এটাই আমার গর্ব।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত। আমি রাজনীতি করি মানুষের ভালোবাসার জন্য, রায়পুরার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যেতে চাই। মনোনয়নের মাপকাঠি আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে নিজেকে নিরাপদ রাখা হতে পারে না। যারা বলেন মনোনয়ন কনফার্ম, তাদেরকে সতর্ক করে বলছি দলে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে যাকেই দিবে সবার আগে আমিই তার গলায় মালা পড়াব।”
অনুষ্ঠান শেষে সংবর্ধিত নেতাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেয় স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।